অঙ্গনওয়ারী কেন্দ্রে বিক্ষোভ অভিভাবকদের : উত্তেজনা এলাকায়

27th September 2020 2:34 pm বাঁকুড়া
অঙ্গনওয়ারী কেন্দ্রে বিক্ষোভ অভিভাবকদের : উত্তেজনা এলাকায়


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : ফের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে ঘিরে বিক্ষোভ বাঁকুড়ায়। এবার পাত্রসায়রের বড়গড়িয়া গ্রামে আইসিডিএস এর খাদ্য সামগ্রী ও গাছের চারা দেওয়ার কথা থাকলেও না দেওয়ায় এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে বিক্ষোভ দেখানো আইসিডিএস কর্মী কে ঘিরে I গ্রামবাসীদের অভিযোগ, অন্যান্য জায়গায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খাদ্য দ্রব্যের সঙ্গে গাছের চারা দেওয়া হলেও এখানে তা হচ্ছেনা। এমনকি চাল দেওয়া হলেও তার সাথে ডাল বা সয়াবিন কিছুই দেওয়া হচ্ছে না অথচ আইসিডিএস রুমের ভেতর বিপুল পরিমাণে ডাল সয়াবিন মজুদ আছে I ঐ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মি বলেন, সুপার ভাইজারের নির্দেশেই চাল বিলি হয়েছে ডাল ও সয়াবিন দিতে বারণ করেছেন সুপারভাইজার । গাছের চারা এখনো আসেনি । চারা এলে ভ্যান ভাড়া বাবদ এলাকার শাসক দলের পঞ্চায়েত সদস্য চারা প্রতি দশ টাকা নেওয়ার কথা তাকে বলেছেন বলেও তিনি দাবি করেন । এ বিষয়ে আমরা ওই এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি কোনো উত্তর দেননি I তবে এলাকার সুপারভাইজার বলেন সিডিপিও সাহেব অর্ডার করেছেন যে সোমবারের মধ্যে সমস্ত জিনিস বিলি করতে হবে সে মত আমাদের দেওয়া হচ্ছে চাল ও ডাল তবে ডাল অফিসে গেছে তবে সেন্টারে এখনো পৌঁছায়নি যেহেতু আমাদের সোমবারের মধ্যে বিতরণ পর্ব শেষ করতে হবে সেই ক্ষেত্রে আমি আইসিডিএস কর্মীদের ফোন করে বলেছিলাম কাল পরশুর মধ্যে সমস্ত দ্রব্য বাচ্চাদের দিয়ে কমপ্লিট করে দিতে হবে করতে যেহেতু ওই আইসিডিএস কেন্দ্র ডালের পরিমাণ একটু কম আছে সে কারণে ডাল আজকে দেয়া সম্ভব হয়নি অফিস থেকে ডাক এলে সবাইকে দেওয়া হবে I





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।